ফেসবুক টিকটক কখন ঠিক হবে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝে যারা গুজব, মিথ্যা তথ্য এবং অপপ্রচার করেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিভিন্ন আন-ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, গ্রুপ, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের পেজ, ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশিত কনটেন্ট তদারকি করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশের আইনের প্রতি জবাবদিহিতায় ফেসবুক, ইউটিউব এবং টিকটকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র মাধ্যমে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, তাদের প্রতিনিধিদের স্বশরীরে উপস্থিত হতে বলা হবে চিঠিতে।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচারের দিকটি তুলে ধরে পলক বলেন, ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তাদেরকে এগুলো সরাতে বললেও তারা সরায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারও কাছে জবাবদিহিতা নেই। একেক দেশের জন্য একেক রকম আচরণ করে। মিয়ানমারে যখন মুসলিমদের ওপর সহিংস আক্রমণ হয়, যেজন্য আজ লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তখন তারা চুপ থাকে। আবার বাংলাদেশের সময় সহিংস কনটেন্ট দেশের বাইরে থেকে বুস্ট হচ্ছে। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করছে, আর আমার দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ডলার আয়ের জন্য তারা সবকিছু করছে। যেকোনো একটা পেইজ থেকে যেকোনো কিছু পোস্ট করা হচ্ছে। নিউ মিডিয়া এবং নিউজ মিডিয়ার মধ্যে পার্থক্য করা যাচ্ছে না।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *