Original “বরবাদ শাকিব খান মুভি ডাউনলোড” টেলিগ্রাম ‘বরবাদ’ (Borbaad) ২০২৫ সালের একটি বহুল আলোচিত ও উচ্চ বাজেটের বাংলাদেশি রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলার চলচ্চিত্র, যার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩১ মার্চ ২০২৫ সালে মুক্তি পায় এবং মুক্তির পর থেকেই দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে
ভূমিকা
‘বরবাদ’ (২০২৫) বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম আলোচিত রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলার, যা পরিচালনা করেছেন মেহেদী হাসান হৃদয় এবং প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। ছবিটি ঈদুল ফিতরের সুযোগে ৩১ মার্চ ২০২৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং মুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে সারা দেশের সিনেমাহলে দর্শকউদ্দীপনা তৈরি করে। এর প্রযোজকদ্বয়ে রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি ও আজিম হরুণ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন ও ঋদ্ধি সিদ্ধি এন্টারটেইনমেন্ট। প্রায় ৳১৫–১৮ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি ছিল তখনকার সময়ের অন্যতম ব্যয়বহুল সিনেমা, যা বক্স অফিসে প্রায় ৳৬২.৫৭ কোটি আয় করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে(Wikipedia, উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ)।
কাহিনী সংক্ষেপ
চলচ্চিত্রটি আরিয়ান মির্জা (শাকিব খান) নামের এক যুবকের গল্প ঘিরে আবর্তিত, যিনি অতীতের প্রেমের ব্যর্থতার ক্ষত নিয়ে তার বাবা আদিব মির্জার পরামর্শে প্রতিশোধের পথে পা বাড়ান। নিতু (ইধিকা পাল) নামের সেই তরুণী, যে তার হৃদয় ভেঙেছিল, আরিয়ানের জীবনে ধীরে ধীরে ঘাতক রূপ ধারণ করে। প্রেম থেকে ঘৃণার পথে আরিয়ানের পদচারণা তাকে অবাঞ্ছিত সংঘর্ষ ও নৃশংস ঘটনায় নিয়ে যায়। শেষমেশ ঘটনা একটি উত্তেজনাপূর্ণ কোর্টরুম বিচারবিন্যাসে গড়ায়, যেখানে ন্যায় ও অপরাধের সীমানা স্পষ্ট হয়ে ওঠে(Wikipedia, উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষ)।
চরিত্র ও অভিনয়
‘বরবাদ’-এ শাকিব খান আরিয়ান মির্জার চরিত্রে পূর্ণমাত্রার অভিনয় উপস্থাপন করেন, যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম পরিপক্ক পারফরম্যান্স হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। নায়িকা ইধিকা পালের নিতু চরিত্র দর্শকদের মনে গেঁথে যায় তার আবেগপূর্ণ অভিনয় ও চকমকি রসায়নের জন্য। ভারতীয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত ফারহান খানের চরিত্রে এবং মিশা সওদাগর আদিব মির্জার ভূমিকায় নাটকীয় উপস্থিতি জানান, যা ছবিতে অতিরিক্ত গভীরতা যোগ করে। সহশিল্পী হিসেবে শাহিদুজ্জামান সেলিম, মানব সচদেব ও মমুনুর রশীদদের সাপোর্টিং চরিত্রও গল্পের ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করে(Wikipedia)।
প্রোডাকশন
সিনেমাটির ধাপ শুরু হয় প্রি-প্রোডাকশন পর্যায়ে, যেখানে পরিচালকদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকশন দৃশ্য উপস্থাপন করা। মুম্বাইয়ের এলোরাস স্টুডিওতে প্রধান শুটিং হয়, যেখানে বলিউডের বিখ্যাত স্টান্ট ডিরেক্টর রবি বর্মা এবং আদিল শেখের সহযোগিতা ছায়াছবি এবং নূতন নৃত্যপরিচালনায় স্থান পায়। শাকিব খান ২০২৩ সালের ‘প্রিয়তমা’র সাফল্যের পর আবারও ইধিকা পালের সঙ্গে জুটি বাঁধেন; তবে যিশু সেনগুপ্তের মতো আন্তর্জাতিক স্টারকেও কাস্টে আনার কারণে শ্যুটিং এর সময়সূচিতে কিছু দেরি দেখা দেয়(Wikipedia)।
সঙ্গীত
আলাপনা ও আবহ সৃষ্টিতে ‘বরবাদ’-এর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আরাফাত মোহসিন, যিনি পূর্বে ‘তুফান’-এ কিছু গানে কাজ করেছেন। প্রীতম হাসান রচনা ও পরিবেশনায় চারটি একক সিঙ্গল প্রকাশ করেন: “দ্বিধা” (১৪ মার্চ ২০২৫), “নিঃশ্বাস” (২৪ মার্চ), “চাঁদ মামা” (২৮ মার্চ) এবং “মায়াবী” (৩১ মার্চ), যেগুলো মুক্তির আগে থেকেই ইউটিউবে আলোড়ন তৈরি করে। আইটেম সং “চাঁদ মামা”-র বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন নুসরাত জাহান, যা শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষে মুক্তি পায় এবং দর্শকপ্রিয় হয়(Wikipedia)।
বিপণন ও মুক্তি
ডিসেম্বরে ঢাকায় একটি পাঁচ-সেকেন্ডের মোশন পোস্টার ও প্রথম পোস্টার উন্মোচন করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে মুক্তিপূর্বে প্রকাশিত টিজার (১:৪৪) বিপুল সাড়া ফেলে, যেখানে শাকিবের নতুন লুক দেখার সুযোগ মেলে। মার্টের মাঝামাঝি সময়ে জিশু সেনগুপ্তের চরিত্রের স্নিপেট প্রকাশ পায়। তবে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডে কাটছাঁট বিষয়ক ঝামেলা ও সমালোচনার পরে, ১৬ সেকেন্ড দৃশ্য ছেঁটে “U” সার্টিফিকেট পায় ছবিটি। সবকিছু মিটমাট হয় ২৪ মার্চ, এবং পরিকল্পিত সময়েই ৩১ মার্চ ২০২৫-এ ঈদে মুক্তি পায়(Wikipedia)।
বক্স অফিস ও পাইরেসি
প্রথম দিনেই দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে প্রায় ৳২৮.৩০ লাখ এবং দ্বিতীয় দিনে ৳৪৪.৩১ লাখ আয় করে ‘বরবাদ’। প্রথম সপ্তাহে মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ৳২৭.৪৩ কোটি, যা পূর্ববর্তী একমাসের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যায়। ২০তম দিনে আয় পৌঁছে ৳৫০.৮২ কোটি এবং ২৫তম দিনে পুরো আয় হয় ৳৬২.৫৭ কোটি, যা তখনকার সর্বকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড। মুক্তির দিনেই টেলিগ্রামসহ অনলাইনে উনিযুক্ত পাইরেসি ক্লিপ ওঠে, যা নিয়ে প্রযোজক পুলিশকে সাধারণ ডায়েরি করেন(Wikipedia)।
সমালোচনা ও প্রভাব
সমালোচকদের দৃষ্টিতে ‘বরবাদ’ ছিল শাকিব খানের পরিমত অভিনয় ও বাণিজ্যিক বিনোদনের সমন্বয়; চয়নিকা চৌধুরী এবং জহিরুল কাইয়ুম ফিরোজ বিশেষ প্রশংসা করেন এর কাহিনী ও অরিজিনালিটি। তবে কিছু সমালোচক ভিএফএক্সের দুর্বলতা এবং খলনায়কের চরিত্রায়ণে অমসৃণতা টোকেন। ছবিটি আইএমডিবি’র “Top 100 most popular films” তালিকায় ৪৪তম স্থান অর্জন করে, যা বাংলাদেশের সিনেমার জন্য গৌরবের বিষয়(Wikipedia)।
Download Now
উপসংহার
‘বরবাদ’ সিনেমাটি বাংলাদেশের আধুনিক বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে—উচ্চ বাজেট, আন্তর্জাতিক মানের প্রোডাকশন, আকর্ষণীয় কাহিনী ও শক্তিশালী পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে। শাকিব খানের ক্যারিয়ারে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা পরবর্তীতে আরও উচ্চতর মানদণ্ড স্থাপনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে(Wikipedia)।
