[আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত] জুমার ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নাত কত রাকাত

[আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত] জুমার ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নাত কত রাকাত

আরবিতে জুমার নামাজের নিয়ত

মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ দিন শুক্রবার। এদিন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা শরিক হন জুমার নামাজে। বলা হয়ে থাকে শুক্রবার তথা জুমাবার হচ্ছে মুসলিম জাহানের সাপ্তাহিক ঈদ।

এদিন যোহরের নামাজের পরিবর্তে দুই রাকাত জুমার নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।

জুমার নামাজের রাকাতের সংখ্যা

* চার রাকাত কাবলাল জুমা,
* দুই রাকাত ফরজ ও
* চার রাকাত বাদাল জুমা।

চার রাকাত কাবলাল জুমার নিয়ত

বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি কাব্‌লাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্‌ ক্বাবাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লাহু আক্‌বার।

অর্থ: আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে চার রাকায়াত কাবলাল জুমার সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।

জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্‌ উসকিতা আন্‌ জিম্মাতী ফারদুজ্জহ্‌রি, বি-আদায়ি রাকয়াতাই ছালাতিল্‌ জুমুয়াতি, ফারজুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্‌ ক্বাবাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লাহু আক্‌বার।

অর্থ: আমার উপর জুহরের ফরজ নামাজ আদায়ের যে দায়িত্ব রয়েছে, আমি কেবলামুখী হয়ে, জুমার দুই রাকায়াত ফরজ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তা পালনের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।

চার রাকাত বাদাল জুমার নিয়ত

বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবায়া রাকাআতি ছালাতি বাদাল জুমুয়াতি, সুন্নাতি রাসূলিল্লাহি তয়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্‌ ক্বাবাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লাহু আক্‌বার।

অর্থ: আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে চার রাকায়াত বাদাল জুমা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজের নিয়ত করলাম। আল্লাহু আকবর।

জুমার ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নাত কত রাকাত?

জুমার ফরজ নামজের আগে চার রাকাত ক্বাবলার জুমা এবংপরে চার রাকাত বাদাল সুন্নাত পড়তে হয়।

কাবলার জুমা ও বা’দাল জুমা চার রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। নিম্মে এ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

(ক) কাবলাল জুমআ‘:মূলত হাদীস ও আছার সামনে রাখলে বোঝা যায়, জুমআ’র আগের সুন্নাত বা কাবলাল জুমআ’ নামায দুই প্রকারের :

এক. সুন্নাতে যায়িদাহ বা নফল, যার যত রাকাত ইচ্ছা পড়তে পারে। যেমন, সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কোনো পুরুষ যখন জুমআ’র দিন গোসল করে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, এরপর (জুমআ’র  জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর তাওফীক মতো নামায পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমআ’ পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়।(সহীহ বুখারী, হাদীস : ৮৮৩; মুসনাদে আহমদ ৮/৪৩ (২৩৭১০); সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস : ২৭৭৬)

দুই. সুন্নতে মুআক্কাদাহযার রাকাত-সংখ্যা (চার রাকাত এক সালামে) নির্ধারিত। হাদীস, আছার ও সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত। যেমন-১.হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য হেলে যাওয়ার পর চার রাকাত নামায পড়তেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিসের নামায, যা আপনি নিয়মিত পড়েন? তিনি বললেন, এটি এমন একটি সময়, যখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। আর আমি পছন্দ করি, যেন এ সময় আমার কোনো নেক আমল উপরে ওঠে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এর প্রতি রাকাতে কি সূরা মিলাতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম, এই নামায কি এক সালামে না দুই সালামে? তিনি উত্তর দিলেন, এক সালামে। (তিরমিযী ১/৭৭; আবু দাউদ ১/১৮০)

ইমাম তিরমিযী (রাহ.) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।এই হাদীস থেকে জানা গেল, সূর্য ঢলার পর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা (কোনো দিন বাদ দেওয়া ছাড়া) চার রাকাত পড়তেন। জুমআ’র দিনসহ সপ্তাহের সকল দিন এই হাদীসের আওতাভুক্ত। নতুবা সর্বদা পড়া হয় না। তাছাড়া এ চার রাকাতের যে কারণ বর্ণনা করা হয়েছে তা জুমআ’র দিনেও রয়েছে।

২.সহীহ সনদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত আছে যে,  তিনি জুমআর নামাযের আগে চার রাকাত নামায পড়তেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৩/২৪৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৪/১১৪)

৩.আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শুধু নিজে চার রাকাত পড়তেন  এমন নয়, তিনি অন্যদেরও চার রাকাত কাবলাল জুমআ’ পড়ার আদেশ দিতেন। তাঁর বিশিষ্ট শাগরিদ আবু আব্দুর রহমান আসসুলামী রাহ.-এর বর্ণনা : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদেরকে জুমআ’র আগে চার রাকাত এবং জুমআ’র পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী রা. আগমন করলেন তখন তিনি আমাদেরকে জুমআ’র পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন।(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক খন্ড ৩, পৃ. ২৪৭)

নফল নামাযের বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া যায়, আদেশ দেওয়া যায় না। আদেশ করার অর্থ, এই নামায অন্তত সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যেমন পরের চার রাকাত সুন্নতে মুআক্কাদাহ।

এ বর্ণনার সনদ সহীহ ও মুত্তাছিল। এই বর্ণনায় লক্ষণীয় বিষয় এই যে, খলীফায়ে রাশিদ আলী ইবনে আবী তালিব (রা.) যখন কুফায় এসে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর শিক্ষা দেখলেন এবং তাঁর আদেশ সম্পর্কে অবগত হলেন তখন তিনি কাবলাল জুমআ’র বিষয়ে কোনো পরিবর্তন করেননি, শুধু বা’দাল জুমা চার রাকাতের সাথে আরো দুই রাকাত যোগ করার আদেশ করেছেন। ফলে পরবর্তী সময়ে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহ.)সহ আরো অনেক ইমামের নিকটে, জুমআ’র পরের সুন্নত সর্বমোট ছয় রাকাত। এ থেকেও প্রমাণিত হয় খলীফায়ে রাশিদ আলী ইবনে আবী তালিব (রা.)-এর নিকটেও কাবলাল জুমআ’র সুন্নত চার রাকাত।

৪. জাবালা ইবনে সুহাইম রাহ. সহীহ সনদে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা. ) থেকে বর্ণনা করেন,  ‘তিনি জুমআ’র আগে চার রাকাত পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না।’ (শরহু মাআনিল আছার, তহাবী পৃ. ১৬৪-১৬৫ আছারুস সুনান পৃ. ৩০২ফাতহুল বারী৫/৫৩৯)আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. জুমআ’র আগে দীর্ঘসময় নামায পড়তেন। কিন্তু উপরের বর্ণনায় চার রাকাতকে আলাদা করে এজন্যই উল্লেখ করা হয়েছে যে, তা সুন্নতে মুআক্কাদাহ।

৫.খাইরুল কুরূনে সাহাবা-তাবেয়ীনের সাধারণ আমল এটিই ছিল। তাবেয়ী আমর ইবনে সায়ীদ ইবনুল আস রাহ. (৭০হি.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণকে দেখতাম, জুমআ’র দিন সূর্য যখন ঢলে যেত তখন তাঁরা দাড়িয়ে যেতেন এবং চার রাকাত পড়তেন।’

সাহাবা-তাবেয়ীনের এই সাধারণ কর্মধারা প্রমাণ করে, জুমআ’র আগে নফল নামাযের রাকাত-সংখ্যা যদিও নির্ধারিত নয়, প্রত্যেকে নিজ নিজ ইচ্ছা ও অভিরুচি অনুযায়ী পড়বে। তবে এসময় চার রাকাত নামাযের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। আর তা পড়া হত সূর্য ঢলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় আযানের আগে।

আর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর ঐ চার রাকাতের আদেশ দেওয়া এবং খলীফায়ে রাশেদের তাঁর সাথে একমত থাকা, বলাই বাহুল্য, নিছক ইজতিহাদের ভিত্তিতে হতে পারে না। এ কারণে তাঁর এই হুকুম ‘‘মারফূ হুকমী’’ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।যারা দাবি করেন কোনো হাদীসেই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জুমআ’র আগে নামায পড়া প্রমাণিত নয়-না ঘরে, না মসজিদে, তাদের দাবি সত্য নয়। যদি তা সত্যও হত তবুও উপরোক্ত আছর, সাহাবা-তাবেয়ীনের ব্যাপক রীতি এবং উপরে উল্লেখিত ‘মারফূ হুকমী’ একথা প্রমাণে যথেষ্ট হত যে, জুমআ’র আগে চার রাকাত সুন্নতে রাতিবা (মুআক্কাদাহ) রয়েছে।

ইমাম ইবনে রজব রাহ. লিখেছেন, ‘এ বিষয়ে ইজমা আছে যে, জুমআ’র আগে সূর্য ঢলার পর নামায পড়া একটি উত্তম আমল।’ মতপার্থক্য শুধু এখানে যে, ঐ নামায জোহরের আগের সুন্নতের মতো সুন্নতে রাতিবা, না আসরের আগের নামাযের মতো মুস্তাহাব। অধিকাংশ ইমামের মতে তা সুন্নতে রাতিবা (মুআক্কাদাহ)। আওযায়ী, সুফিয়ান ছাওরী, আবু হানীফা ও তাঁর সঙ্গীদের সিদ্ধান্ত এটাই। ইমাম আহমদ রাহ.-এর বক্তব্য থেকেও তা-ই প্রকাশিত। তবে শাফেয়ী মাযহাবের পরবর্তী অনেক ফকীহ বলেছেন, তা মুস্তাহাব, সুন্নতে রাতিবা নয়।(ফাতহুল বারী, ইবনে রজব, খ. ৫, পৃ. ৫৪১, ৫৪২-৫৪৩)

(খ) বা‘দাল জুমআ‘: বা’দাল জুমআ’ বা জুমআ’র পরের  চার রাকাত সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। পরের চার রাকাত সুন্নতের সঙ্গে আরও দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।

১.আবূ হুরায়রা (রা.) বলেছেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- ”তোমাদের কেউ যখন জুমআ’ (ফরজ) পড়ে তখন সে যেন ‘বা’দাল জুমআ’ চার রাকাত পড়ে নেয়।” সুহায়ল (রাহ.) বলেন, ত্বরা থাকলে মসজিদে দুই রাকাত, ঘরে ফিরে দুই রাকাত পড়ো।(মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৮৮১)

২.আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)এর বিশিষ্ট শাগরিদ আবু আব্দুর রহমান আসসুলামী রাহ.-এর বর্ণনা : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদেরকে জুমআ’র আগে চার রাকাত এবং জুমআ’র পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী রা. আগমন করলেন তখন তিনি আমাদেরকে জুমআ’র পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন।(মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক খন্ড ৩, পৃ. ২৪৭)

৩. হযরত ইবনে উমর (রা.) সম্পর্কে আতা (রহ.) বলেছেন, তিনি যখন মক্কা শরীফে অবস্থান করতেন এবং জুমআ’র নামায পড়তেন, তখন সামনে অগ্রসর হয়ে দুই রাকাত পড়তেন, এরপর আরেকটু অগ্রসর হয়ে চার রাকাত পড়তেন। আর যখন মদীনা শরীফে জুমআ আদায় করতেন তখন ঘরে ফিরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। মসজিদে পড়তেননা। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এমনই করতেন।(আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ১১৩০; আল্লামা ইরাকী বলেছেন, এর সনদ সহীহ)

৪. আতা (রহ.) বলেন,  তিনি হযরত ইবনে উমর রা.কে দেখেছেন, তিনি জুমআর নামাযের পর মুসল্লা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই রাকাত পড়লেন। এরপর আরেকটু সরে চার রাকাত পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আতা র.কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি হযরত ইবনে উমর রা. কে কতবার এমন করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, অনেকবার।(আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ১১৩৩)
৫.ইবরাহীম নাখায়ী (রহ.) বলেন,  ”সাহাবায়ে কেরাম কাবলাল জুমআ চার রাকাত, বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়তেন।”
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪০৫,৫৪২২)

এজন্যই হাফেজ ইবনে তায়মিয়া (রহ.) বলেছেন, ”নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  থেকে সহীহ সনদে এসেছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বা’দাল জুমআ পড়বে, সে যেন চার রাকাত পড়ে। আর অনেক সাহাবী  থেকে ছয় রাকাতের কথাও বর্ণিত রয়েছে।”

About the Author: Nazmul Hossain

আমি নাজমুল । আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি চাকরী করছি। আমার চাকরী পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *