Priyo Maloti (2025) Bengali Chorki – Download & Watch Online

পটভূমি
চলচ্চিত্রটির পটভূমি গড়ে উঠেছে মালতী রানী দাশ নামে এক সংগ্রামী নিম্ন-মধ্যবিত্ত হিন্দু নারীর জীবনের গল্পকে কেন্দ্র করে। মালতী দাশ ও পলাশ কুমার দাশ, এক তরুণ দম্পতি, একসঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। তারা স্বপ্ন দেখছিলেন একটি সাধারণ কিন্তু সুখী সংসারের— যেখানে প্রতিদিনের ছোট ছোট আনন্দ, খুনসুটি, আর ভালোবাসার বিনিময়ে তারা জীবনের রঙিন মুহূর্তগুলো উপভোগ করতেন।
বিবাহবার্ষিকীতে নৌকায় ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় একসঙ্গে সময় কাটানো, কিংবা উপহার বিনিময়ের মতো সরল কিন্তু মধুর অভিজ্ঞতাগুলো তাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলছিল। তবে এই সুখী জীবনের ছন্দ হঠাৎ করেই থমকে যায় একটি ভয়াবহ ঘটনা দিয়ে। শহরের একটি বাণিজ্যিক ভবনে ঘটে যাওয়া আগুনের মর্মান্তিক ঘটনা তাদের জীবনে এক অভাবনীয় মোড় নিয়ে আসে।
কীভাবে সেই অগ্নিকাণ্ড তাদের জীবনকে ওলটপালট করে দেয়? কী ঘটে মালতী ও পলাশের ভবিষ্যতে? এই প্রশ্নগুলোই চলচ্চিত্রের কাহিনিকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত করে, যেখানে সংগ্রাম, ভালোবাসা, এবং বেঁচে থাকার অদম্য আকাঙ্ক্ষার গল্প উঠে আসে।
অভিনয়শিল্পী
মেহজাবীন চৌধুরী – মালতী রানী দাশ
নাদের চৌধুরী
আজাদ আবুল কালাম
সমু চৌধুরী
শহীদুল আলম সাচ্চু
মোমেনা চৌধুরী
আনিসুল হক বরুণ
শাহজাহান সম্রাট
রিজভী রিজু – মালতীর স্বামী
নির্মাণ
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।[১৩] পুরান ঢাকার সদরঘাট, শাঁখারিবাজার, গুলিস্তানের মতো জায়গায় চিত্রায়ণ সিনেমাটিকে করে তুলেছে।[১৪]
২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল মেহজাবীনের জন্মদিনে চলচ্চিত্রটির ট্রিজার এবং ১৪ ডিসেম্বর ট্রেইলার প্রকাশ করা হয়।[১৫] এটিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড ‘ইউ’ সার্টিফিকেট দিয়ে নিশ্চিত করে যে এটি সব দর্শকের জন্য উপযুক্ত।
মুক্তি
চলচ্চিত্রটি ৪৫তম কায়রো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ৫৫তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় প্রদর্শিত হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের ২০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। দর্শক এবং সমালোচকদের প্রশংসা পাওয়ায় তৃতীয় সপ্তাহে স্টার সিনেপ্লেক্স শো দ্বিগুণ করে।
মূল্যায়ণ
প্রথম আলো পত্রিকায় পৃথা পারমিতা নাগ লিখেছেন, শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমাটি বাস্তবের নিখুঁত রূপান্তর। মেহজাবীন চৌধুরীর অসাধারণ অভিনয়ে মালতীর চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠেছে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনসংগ্রাম ও সমাজের বাস্তবতা নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে সিনেমায়। চিত্রগ্রহণ, আবহসংগীত, এবং পুরান ঢাকার শুটিং লোকেশন সিনেমাটিকে আরও বাস্তব ও জীবন্ত করেছে। শক্তিশালী নারী চরিত্র এবং জীবনের কঠিন বাস্তবতার গল্প তুলে ধরায় সিনেমাটি দর্শকের মনে গভীর প্রভাব ফেলবে।