সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ছবি আজকের খবর।সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ময়লা ও কালো পানি জমে আছে। তাই বন্যাকবলিত মানুষ এখনই বাড়িতে ফিরতে পারছে না। এদিকে নগরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানি কমলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বেড়েছে। আবার কিছু পয়েন্টে পানি স্থির রয়েছে।
সিলেট নগরে পানি নামছে, তবে বেড়েছে নদ-নদীর পানি
সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে ময়লা ও কালো পানি জমে আছে। তাই বন্যাকবলিত মানুষ এখনই বাড়িতে ফিরতে পারছে না। এদিকে নগরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা নদীর পানি কমলেও অন্যান্য নদ-নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বেড়েছে। আবার কিছু পয়েন্টে পানি স্থির রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি ১৩ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে রয়েছে ১৩ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে গতকালের মতো পানি অপরিবর্তিত আছে। সেখানে পানি ১৭ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছে। শেওলা পয়েন্টেও গতকালের মতো পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। সেখানে পানি রয়েছে ১৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও অপরিবর্তিত অবস্থায় পানি ১০ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটারে রয়েছে।
চিকিৎসা নিতে বন্যার্তদের ভিড়
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই–টেক পার্ক এলাকায় বন্যার্ত শত শত মানুষ চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য ভিড় করছেন। পেটব্যথা, পাতলা পায়খানা, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা ও কাটাছেঁড়ার মতো জটিলতা নিয়ে তাঁরা চিকিৎসার জন্য এসেছেন।
ফুরারপাড় এলাকার মায়ারুল বেগম (৭০) চিকিৎসক দেখানোর অপেক্ষায় আছেন। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে মাথাব্যথা ও জ্বরে ভুগছেন। বমি হওয়ার পাশাপাশি তাঁর খাওয়ার রুচি নেই।

৫ দিন পানিতে ডুবে থাকা ধান শুকাতে দিয়েছেন শফিক উদ্দিন

শফিক উদ্দিনের খেতের ধান যখন আধাপাকা, তখন পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাঁর ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেটা গত মে মাসের কথা। তখনই ধান প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এরপর পানি কমে যায়। সেই ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু এবারের বন্যায় আর শেষ রক্ষা হলো না। ঘরের ভেতরে কেটে রাখা ধান পানির নিচে ডুবে ছিল পাঁচ দিন। তবু হাল ছাড়েননি শফিক উদ্দিন।
ধুনটে বন্যার পানিতে নিখোঁজ শিশুর লাশ ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার
বগুড়ার ধুনটে বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজ এক শিশুর লাশ প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ি সড়কের কালভার্টের কাছ থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একই স্থানে ওই শিশু পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
ওই শিশুর নাম আতিক হাসান (৭)। সে উপজেলার গোঁসাইবাড়ি পূর্বপাড়ার কমল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে শিমুলবাড়ি গ্রামের সড়কটি পানিতে ডুবে গেছে। সেখান দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আতিক হাসান প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে সেতুর পাশে সড়কের ওপর পানিতে নেমে খেলছিল। এ সময় তীব্র স্রোতের তোড়ে আতিক পানিতে ভেসে যায়। খবর পেয়ে গতকাল ধুনট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে শিশুকে পায়নি।
নিউজ এই সাইট থেকে নেওয়া :
https://www.prothomalo.com/topic/%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE