প্রবন্ধ কাকে বলে বাংলা প্রবন্ধ রচনার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য

প্রবন্ধ কাকে বলে বাংলা প্রবন্ধ রচনার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য

প্রবন্ধ কাকে বলে বাংলা প্রবন্ধ রচনার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য, উদ্দেশ্য

প্রবন্ধ কাকে বলে বা কি

নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ বলে । প্রবন্ধ রচনার বিষয়, ভাব, ভাষা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ।

এক কথায় কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে লেখক যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্য রূপ সৃষ্টি করেন তাই প্রবন্ধ ।

শ্রেণিবিভাগঃ

প্রবন্ধ প্রধানত ২ ভাগে বিভক্তঃ

১। তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ

২। মন্ময় বা ব্যক্তিনিষ্ঠ

যে প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য থাকে তাকেই তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ বলে।লেখকের পান্ডিত্য,জ্ঞানের গভীরতা ইত্যাদি এখানে ভালোভাবে প্রকাশ পায়।বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকেই মূলত প্রবন্ধ বলে বিবেচনা করা হয়।

এই প্রবন্ধ অনেক ভাগে বিভক্তঃ

১। বিবৃতিমূলক

২। ব্যাখ্যামূলক

৩। বর্ণনামূলক

৪। বিতর্কমূলক

৫। চিন্তামূলক

৬। তথ্যমূলক

৭। নীতিকথামূলক

প্রবন্ধ রচনার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য :-

উপরিউক্ত আমরা যা আলোচনা করলাম তা থেকে কতগুলি প্রবন্ধ রচনার স্বরূপ ও বৈশিষ্ট লক্ষ্য করা যায়- 

১ – প্রবন্ধ সাহিত্য গদ্য লেখা মানুষের চিন্তা, মনন ও তত্ত্বই এখানে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। প্রবন্ধ মস্তিষ্ক প্রসূত রচনা। তথ্য, তত্ত্ব, যুক্তি, তর্ক, সিদ্ধান্ত প্রবন্ধের প্রধান উপকরণ।

২ – সাধারণত প্রবন্ধ সাহিত্যে জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়সমূহ প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কোনো বিষয় সম্পর্কে লেখকের চিন্তা গ্রাহ্য তত্ত্বকে কেন্দ্র করে প্রবন্ধ গড়ে ওঠে।

তেমনি আবার বস্তুনিষ্ঠ বা তন্ময় প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১ – যুক্তিনিষ্ঠা ও ভাবনার নির্দিষ্ট শৃঙ্খলা থাকবে।

২ – তত্ত্ব ও তথ্যর লক্ষণীয় প্রাধান্য থাকবে ।

৩ – যিনি প্রবন্ধ রচনা করছেন তার ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতির বদলে বস্তুনিষ্ঠা বেশি প্রধান্য।

৪ – প্রবন্ধের বিষয় সম্পর্কে প্রবন্ধকারের থাকবে নিঃস্পৃহতা, নিরপেক্ষতা।

৫ – বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ রচনা করার সময় লেখকের ভাষা ব্যবহারে সতর্কতার মাধ্যমে প্রবন্ধের বক্তব্য উল্লেখিত হবে।

ব্যক্তিগত বা মন্ময় প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ :

১ – যুক্তি ও মননশীলতার পরিবর্তে লেখকের হৃদয় আবেগেরই প্রাধান্য থাকবে ।

২ – লেখকের লেখা প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ভাবরসে জারিত হয়ে পাঠকের হৃদয়কে স্পর্শ করবে।

৩ – সরস, মর্মস্পর্শী, আত্মকেন্দ্রিক ভঙ্গিতে পাঠকদের কাছে টেনে আনেন প্রাবন্ধিক।
৪ – বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকারের মতো মন্ময় প্রাবন্ধিক সোচ্চার বা উদ্দেশ্যতাড়িত নন, বরং আত্মমগ্ন ও কিছুটা রহস্যময়।

৫ – মন্ময় প্রবন্ধ মূলত ব্যক্তিগত নৈর্ব্যক্তিক নয়।

৬ – ভাষার ব্যবহারে প্রবন্ধকার অনেক বেশি স্বাধীনতা পান এবং পাঠকের সঙ্গে আন্তরিক বিনিময় গড়ে তোলেন।

প্রবন্ধ রচনার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ :-

১ – লেখক যে বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করবে তা স্থির করার পর তার উপকরণ ও তথ্য প্রস্তুত করতে হবে।

২ – প্রবন্ধের মধ্যে সাধারনত তিনটি অংশ থাকে। এক সূচনায় বিষয়বস্তুর আভাস, দুই মূল বক্তব্যে পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত এবং তিন উপসংহার থাকবে।

৩ – সহজ সরল ভাষায় সংক্ষেপে ছোট গল্প, ছোট অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে।

৪ – গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো রচনার শুরুতে লিখতে হবে।
আরও পড়ুন :- প্রবাদ বাক্য সমূহ?
৫ – বিষয়ওয়ারি যুক্তি ও তথ্যের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পরস্পর বিরোধী যুক্তি ও ভাব রচনায় স্থান পাবে না।
৬ – প্রবন্ধ রচনায় সাধু ও চলিত ভাষায় মিশ্রণ থাকবে না।

৭ – লেখক যে বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করবেন তা যেন খুব বেশি বড় বা ছোট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ব্যক্তিগত বা মন্ময় প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ :

১ – যুক্তি ও মননশীলতার পরিবর্তে লেখকের হৃদয় আবেগেরই প্রাধান্য থাকবে ।

২ – লেখকের লেখা প্রবন্ধের বিষয়বস্তু ভাবরসে জারিত হয়ে পাঠকের হৃদয়কে স্পর্শ করবে।

৩ – সরস, মর্মস্পর্শী, আত্মকেন্দ্রিক ভঙ্গিতে পাঠকদের কাছে টেনে আনেন প্রাবন্ধিক।
৪ – বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধকারের মতো মন্ময় প্রাবন্ধিক সোচ্চার বা উদ্দেশ্যতাড়িত নন, বরং আত্মমগ্ন ও কিছুটা রহস্যময়।

৫ – মন্ময় প্রবন্ধ মূলত ব্যক্তিগত নৈর্ব্যক্তিক নয়।

৬ – ভাষার ব্যবহারে প্রবন্ধকার অনেক বেশি স্বাধীনতা পান এবং পাঠকের সঙ্গে আন্তরিক বিনিময় গড়ে তোলেন।

প্রবন্ধ রচনার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ :-

১ – লেখক যে বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করবে তা স্থির করার পর তার উপকরণ ও তথ্য প্রস্তুত করতে হবে।

২ – প্রবন্ধের মধ্যে সাধারনত তিনটি অংশ থাকে। এক সূচনায় বিষয়বস্তুর আভাস, দুই মূল বক্তব্যে পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত এবং তিন উপসংহার থাকবে।

৩ – সহজ সরল ভাষায় সংক্ষেপে ছোট গল্প, ছোট অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হবে।

৪ – গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো রচনার শুরুতে লিখতে হবে।

৫ – বিষয়ওয়ারি যুক্তি ও তথ্যের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পরস্পর বিরোধী যুক্তি ও ভাব রচনায় স্থান পাবে না।
৬ – প্রবন্ধ রচনায় সাধু ও চলিত ভাষায় মিশ্রণ থাকবে না।

৭ – লেখক যে বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করবেন তা যেন খুব বেশি বড় বা ছোট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *