১০০০+ হযরত আলী ২০২৪ এর কিছু বাণী বা উক্তি
পিতার নাম আবু তালিব, মাতার নাম: ফাতিমা বিনতে আসাদ। তিনি ৬০০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন হজরত মুহাম্মদ সা. এর চাচাতো ভাই। তার ডাক নাম আবু তোরাব ও আবুল হাসান। নবুওয়াতের শুরুতে হযরত আলী রা. ইসলাম কবুল করেন। এরপর আলী রা. বয়স তখন মাত্র দশ বছর। ছেলেদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলিম বিশ্বের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী। তিনি ছিলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের একনিষ্ঠ প্রেমিক। আলী রা. তিনি ছিলেন অসাধারণ জ্ঞানের অধিকারী। এই নবীর জামাতা ছিলেন স্মৃতি ও জ্ঞানে পরিপূর্ণ।
বিদ্রোহী খারেজী হযরত আলী মুয়াবিয়া ও আমর ইবনুল আস রা. ইসলামের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের জন্য কারা দায়ী। তাই তারা এই তিনজনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। কুফা, দামেস্ক এবং ফুসতাতে, আততায়ীরা তাদের নিজ নিজ মসজিদ থেকে বের হওয়ার পথে তাদের হত্যা করতে চেয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে আমর ইবনুল আস সেদিন অনুপস্থিত ছিলেন। মুয়াবিয়া রা. হামলাকারীর আঘাতে তিনি আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা! আবদুর ইবনে মুলজামের ছোরা হযরত আলীকে আঘাত করে। গুরুতর আহত হয়। তিনি ৬৬১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জানুয়ারি শহীদ হন। আর এই মহান খলিফার ইন্তেকালের সাথে সাথে সিরাত মুস্তাকীমের উপর প্রতিষ্ঠিত খুলাফায়ে রাশেদীনের পবিত্র খিলাফতের অবসান ঘটে।
- “অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে” – হযরত আলী
- “বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না” – হযরত আলী
- “মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রূ তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রূ” – হযরত আলী
- “যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না!” – হযরত আলী
- “হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের” – হযরত আলী
- “বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে” – হযরত আলী
- “স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বগ সুখ আর কিছু নেই” – হযরত আলী
- “পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক” – হযরত আলী
- “অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে” – হযরত আলী
- “ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন” – হযরত আলী
- “বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে।” – হযরত আলী
- “কৃপণতা সকল বদভ্যাসের সম্মিলিত রুপ। এটা এমনি এক লাগাম যা দ্বারা যে কোন অন্যায়ের দিকে টেনে নেওয়া চলে।” – হযরত আলী
- “তোমার যা ভাললাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে” – হযরত আলী
- “মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো” – হযরত আলী
- “সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ” – হযরত আলী
- “যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না” – হযরত আলী
- “অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে” – হযরত আলী
- “বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না” – হযরত আলী
- “অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়” – হযরত আলী
- “যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে” – হযরত আলী
- “কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে” – হযরত আলী
- “যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না” – হযরত আলী