কঠোর লকডাউনে গাজীপুরে সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা টহলে সেনা ও বিজিবি.
ঈদ উপলক্ষে আট দিন শিথিলের পর শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে আবারো শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বরিশালের মহাসড়ক ও নগরীর রাস্তাঘাট ছিল অনেকটাই ফাঁকা। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মাঠে আছে সেনাবাহিনী। মহাসড়কে চেকপোস্টে কড়াকড়ি চলছে
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বসানো হয়েছে পুলিশ চেকপোস্ট। কিছু বাস হাইওয়েতে চলাচল করতে দেখা গেছে, তবে বাসগুলো দূরপাল্লার। তারা যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছে। রাতে যারা গ্রাম থেকে রওনা হয়েছিলেন তারা চন্দ্রা ত্রিমোড়ে নেমে পরিবহন না পেয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে। অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে পরিবহন না পেয়ে কিছু মানুষকে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছে।
এছাড়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মহানগরী ও উপজেলাগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে টহল দিচ্ছে। মহানগরীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনে সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) মেহেদী হাসান ও সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে পুলিশের (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
সকালে থেকে নগরীতে সীমিত সংখ্যক রিকশা, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার এবং ব্যক্তিগত যান চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। সকালের দিকে নগরীর কাঁচাবাজারে কিছুটা ভিড় হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। সকাল ১০টার পর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি ও সপ্তাহিক বন্ধের কারণে দুপুরের দিকে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। তবে পাড়া-মহল্লায় কিছু চায়ের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে।