সহজ ১০ উপায় আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন আর সেই বিষয়টি আপনি খুব সহজে কিভাবে পাবেন তা আজকে আমার এই ওয়েবসাইটে পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন 10 টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব

আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকা ভিসা পাবার যোগ্যতা সম্পর্কে বলা যায় যে আমেরিকাতে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসা পেতে চান সেটার উপর নির্ভরশীল। কারণ ভিসার যোগ্যতা বলতে বোঝায় এজেন্সি রিকোয়ারমেন্ট। আপনি কোন ধরনের ভিসা নিতে চান সেটার উপর সেই এজেন্সি গুলো আপনাকে কিছু রিকোয়ারমেন্ট প্রদান করবেন। উক্ত রিক্রুটমেন্ট গুলি যদি আপনার কাছে থেকে থাকে তবে আপনি আমেরিকা ভিসা পাবেন। এবং আপনার কাছে এসে গুলি থাকাটাই হচ্ছে আমেরিকা ভিসা পাবার যোগ্যতা।

সহজ ১০ উপায় আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

মনে করে একজন মানুষ আমেরিকায় শ্রমিক ভিসা নিতে চাচ্ছে, তাহলে শ্রমিক ভিসার জন্য যে সকল রিকোয়েন্টমেন্ট এজেন্সি থেকে চাওয়া হবে সেগুলোর সাথে কখনোই স্টুডেন্ট ভিসা রিকোয়ারমেন্ট গুলো মিলবে না। তাই পরিশেষে বলা যায় যে কোন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন সেটার উপরে নির্ভর করবে আপনার ভিসার যোগ্যতা।

আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২৩

আমেরিকাতে যাওয়ার নানাবিধ উপায় রয়েছে তবে ২০২৩ সালে এসে অবৈধ যে উপায়গুলো ছিল সেগুলো আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও যারা আমেরিকা যাওয়ার জন্য মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসতো তাদেরকে ধীরে ধীরে আইনের আয়তায় আনা হচ্ছে। তবে অনেকেই মনে করত ২০২৩ সালের প্রথম দিকেই লটারির মাধ্যমে আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগ মিলবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন লটারি প্রকাশ করেননি, যদিও আশা করা যায় খুব শীঘ্রই একটি লটারি প্রকাশ করতে পারে। তবে আমেরিকা যেতে হলে বাংলাদেশে অনেক এজেন্সিগুলো রয়েছে সেখান থেকে আসল রিক্রুটমেন্ট জমা দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে আমেরিকা পৌঁছাতে পারবেন।

সহজ ১০ উপায় আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনলেও এখনো চাকরি, পরিবার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায় রয়েছে।

যার মধ্যে অন্যতম উপায় হচ্ছে- ‘ইমপ্লয়মেন্ট-বেজড’ (ইবি) সিরিজ। যারা আমেরিকায় স্থায়ীভাবে চাকরির ভিসা পেতে আগ্রহী তারা ইবি সিরিজের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত ক্যাটাগরিগুলোতে আবেদন করতে পারবেন।

ইবি-১: এর মধ্যে কয়েকটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়। যেমন, কোনো বিষয়ে অসাধারণ দক্ষতা ও বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা। এছাড়াও গবেষণাক্ষেত্রে ভালো দক্ষতা থাকলে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চাকরির জন্য ভিসা পাওয়া যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র প্রয়োজন হয়।

ইবি-২: কোনো ব্যক্তির যদি কোনো ব্যতিক্রমী দক্ষতা বা উচ্চতর শিক্ষা থাকে তাহলে তিনি স্থায়ী চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষতার ভিত্তিতে আপনার কাছে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে।

ইবি-৩: এই ক্যাটাগরিতে দক্ষ কর্মী বা দক্ষ প্রফেশনাল ব্যক্তিরা ভিসা পেতে পারেন। তবে দক্ষতার বিষয়ে আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে। কিন্তু এই বিষয়ে আমেরিকায় কর্মী পাওয়া সহজ কিনা বিষয়টি যাচাই করে নেবেন। কারণ এ বিষয়ে সেখানে দক্ষ জনবল থাকলে আপনি ভিসা পাবেন না।

ইবি-৪: বিশেষ অভিবাসীদের ভিসা দেয় আমেরিকা। দেশটির ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট (আইএনএ) উল্লেখিত বিষয়গুলোতেই অভিবাসীরা স্থায়ীভাবে চাকরির ভিসা পেয়ে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে- ন্যাটোর সাবেক কর্মী বা ন্যাটোর সাবেক কর্মীর স্পাউস, চিকিৎসক, স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, ইরাক ও আফগানিস্তানের ভাষা জানেন এবং ইংরেজি অনুবাদ করতে পারেন এমন ব্যক্তি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বা কর্মী অন্যতম। আবার এর জন্য কোনো চাকরির অফার লেটার দরকার হয় না।

ইবি-৫: আপনার যদি আমেরিকা গিয়ে উদ্যোক্তা হবার মতো অর্থ থাকে তাহলে ভিসা পেতে পারেন। তবে এই ক্যাটাগরিতে আপনাকে ভিসা পেতে হলে সেখানে গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং কমপক্ষে ১০ জন আমেরিকানকে চাকরি দেয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে। এমনকি কমপক্ষে ৫ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।

তবে উপরের ৫টি ক্যাটাগরিতে আপনার ভিসা পাওয়ার সুযোগ না থাকলেও আরো কয়েকটি সুযোগ আপনার জন্য রয়েছে। সেগুলো হলো-

কর্মসংস্থানভিত্তিক কাজের প্রস্তাব: আমেরিকার কোনো প্রতিষ্ঠান আপনাকে সেখানে কাজের সুযোগ দিয়ে যদি অফার লেটার পাঠান তাহলে আপনি ভিসা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানকে আগে দেশটির ‘ডিপার্টমেন্ট অব লেবার’ (ডিওএল) থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। এই ক্যাটাগরিতে আমেরিকা প্রতি বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ভিসা দিয়ে থাকে।

পরিবার বা স্পাউস: আমেরিকায় যদি আপনার পরিবার বা আইনগতভাবে বৈধ সঙ্গীর নাগরিকত্ব থাকে তাহলে আপনি সহজেই ভিসা পেতে পারেন। আমেরিকার যেকোনো নাগরিক তার সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যকে সেখানে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেন।

আমেরিকান কোনো নাগরিকের সঙ্গে আপনার বাগদান হলেও আপনি সেখানে যাওয়ার অনুমতি পেতে পারেন। তবে বাগদান বৈধভাবে হতে হবে এবং বাগদানের পর অন্তত দুই বছর পার হতে হবে। এরপর আপনার যার সঙ্গে বাগদান হয়েছে তিনি আপনাকে আমেরিকা নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রথমবার আপনি কমপক্ষে ৯০ দিনের ভিসা পাবেন।

পড়াশোনা: পড়াশোনার জন্য আপনি আমেরিকার ভিসা পেতে পারেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় আপনি সেখানে থাকার স্থায়ী অনুমতি পাবেন না। তবে পড়াশোনার সময়ে আপনি আপনার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরির প্রস্তাব পেলে ফিরে এসে আবার যেতে পারেন।

About the Author: Nazmul Hossain

আমি নাজমুল । আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি চাকরী করছি। আমার চাকরী পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *