Sada Ronger Prithibi Full Movie 2024 – সাদা রঙের পৃথিবী মুভি
সাদা রঙের পৃথিবী ২০২৪ সালের একটি বাংলা ভাষার ভারতীয় অপরাধধর্মী থ্রিলার চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন রাজর্ষি দে। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অরিন্দম শীল ও রিচা শর্মা। এটি ২০২৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রে নারী পাচারের ঘটনাকে চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
সাদা রঙের পৃথিবী | |
---|---|
প্রচারণা পোস্টার | |
পরিচালক | রাজর্ষি দে |
প্রযোজক | রাজর্ষি দে |
চিত্রনাট্যকার | সৌগত বসু |
শ্রেষ্ঠাংশে | শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় সৌরসেনী মৈত্র অরিন্দম শীল রিচা শর্মা |
সুরকার | আশু চক্রবর্তী |
চিত্রগ্রাহক | সৌমিক হালদার |
সম্পাদক | স্বর্ণভা চক্রবর্তী |
মুক্তি | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয় শিল্পী
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় – শিবানী বা ভবানী
সৌরসেনী মৈত্র – ওলোক্কি
অরিন্দম শীল – করুণানন্দ
দেবলীনা কুমার – সুমতি
অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় – এবি আভা সেন
রিচা শর্মা – আরএস আইপিএস আগরওয়াল
সাদা রঙের পৃথিবী’, পড়ুন রিভিউ
চারুবাক: বৃন্দাবন ও বেনারস একটা সময়ে অসহায় বাঙালি বিধবার একমাত্র আশ্রয়স্থল ছিল। কিশোরী, তরুণী বা মাঝবয়সী যে বয়সের বিধবা হোক না কেন, সংসারে “বাড়তি” হয়ে পড়লেই তাঁদের একমাত্র গন্তব্য ছিল বৃন্দাবন বা কাশী। কাশীতে তো “মুক্তি ভবন” নামে একটি বাড়িই আছে এমন অসহায় বিধবাদের একমাত্র আশ্রয়! সাহিত্যিক প্রফুল্ল রায় সেই “মুক্তি ভবন” নিয়ে একটি উপন্যাসও লিখেছিলেন, এবং সেই গল্প নিয়ে বাংলায় একটি ছবিও হয়েছিল। সেই কাহিনিতে অবশ্য অন্য একটা টুইস্টও ছিল। কাশীতে চলতি প্রবাদ আছে মৃত্যুপথযাত্রী কোনও মানুষ ওখানে গিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ফেললে তাঁর নাকি সরাসরি স্বর্গবাস হয়।
পরিচালক রাজর্ষি দে তাঁর নতুন ছবি ‘সাদা রঙের পৃথিবী’তে বাঙালি অসহায় বিধবাদের তেমনই এক মুক্তি ভবনকে ঘিরে স্বর্গবাস নয়, নিশ্চিত নরকবাসের এক অমানবিক, নারকীয় কাহিনির চিত্ররূপ দিয়েছেন। যেখানে সাধুর বেশে অসাধু ও অসৎ কাজের কারখানা চালান নিগুরানন্দ নামের এক ভন্ড! সুরমা ও পরমা নামের যমজ দুই বোন শিবানী ও ভবানি ( শ্রাবন্তী) তরুণী বিধবা পাচারে লিপ্ত। রাজর্ষির চিত্রনাট্যে এসেছে এই কুচক্রকে ভাঙার জন্য ছদ্মবেশী পুলিশের কর্তা, সাংবাদিক। এদের নিয়েই তিনি যেমন ঘটনার জটিল ধাঁধা তৈরি করেন, তেমনই কাশীর বিখ্যাত ঘিঞ্জি গলিতে চলে দৌড় প্রতিযোগিতা।
ছবিতে ব্যবসায়িক ফর্মুলা হিসেবে রয়েছে সুরমাসহ কয়েকটি নারী চরিত্রের মুখে গালমন্দ! এমনকী, শ্রাবন্তীর মুখ দিয়ে যৌন সুড়সুড়ি দেওয়া সংলাপও বাদ পড়েনি! তবে ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের ভবঘুরে চরিত্রটি কিঞ্চিৎ পজিটিভ ভাবনা প্রসূত!
শ্রাবন্তী অবশ্যই দুটি চরিত্রের অসহায়তা সুন্দর প্রকাশ করেছেন। নিজের যন্ত্রণা প্রকাশের দৃশ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা কী করতে পারেন। সৌরসেনী মৈত্র সুযোগ কম পান টালিগঞ্জে, এই ছবিতে তিনি আবার প্রমাণ করলেন টলিউড তাঁকে এখনও ঠিক করে ব্যবহার করতে পারেনি। রিচা শর্মা স্বল্প সময়েই নিজের স্বাচ্ছন্দ্য প্রমাণ করেছেন। অনেক নতুন মুখের ভিড়ে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ ভালো। অরিন্দম শীল হয়েছেন ভদ্রবেশী অসাধু নিগুরানন্দ। বেশ ভালই। রাজর্ষি নিজে বৃদ্ধবয়সী সাধুর পোশাকে অশান্ত প্রেমিকের চরিত্রটি মন্দ করেননি। তবে বলা ভালো ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ ছবির থেকেও রাজর্ষিকে মনে রাখব “আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা” ছবিতেই। “আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা” ছবিকে ছাপিয়ে যেতে পারল না রাজর্ষির ‘সাদা রঙের পৃথিবী’।
আপনি এই মুভি দেখতে আমাদের