সন্ধি কাকে বলে I সন্ধির শ্রেণীবিভাগ I স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধির পার্থক্য I

সন্ধি কাকে বলে I সন্ধির শ্রেণীবিভাগ I স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধির পার্থক্য I.তৎসম সন্ধি কত প্রকার ও কি কি,সন্ধি কাকে বলে সন্ধির প্রকারভেদ,সন্ধি কত প্রকার কি কি,সন্ধি বিচ্ছেদ কর,ব্যঞ্জন সন্ধি কত প্রকার ও কি কি,ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে উদাহরণ দাও,বিসর্গ সন্ধি কাকে বলে,নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কাকে বলে,

সন্ধি কাকে বলে

সন্ধি বাংলা ব্যাকরণে শব্দগঠনের একটি মাধ্যম। … সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে

সন্ধির শ্রেণীবিভাগ

সন্ধির দ্বারা দুটি শব্দকে মিলিয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরির করা হয়। যেমন- দেব শব্দটির অর্থ …
‎১ ধারণা · ‎৩ প্রকারভেদ · ‎৩.১ স্বরসন্ধি · ‎৩.২ ব্যঞ্জনসন্ধি

স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধির পার্থক্য

স্বরসন্ধি

স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির সন্ধি হলে স্বরসন্ধি হয়। যেমন, সিংহাসন = সিংহ + আসন (সিংহ = স্‌+ই+ং+হ্‌+অ ; আসন = আ+স্‌+অ+ন্‌+অ), বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়, হিমালয় = হিম + আলয়।নিয়ম

১. অ/আ + অ/আ = আ

উদাহরণ: সিংহাসন = সিংহ + আসন (স্‌+ই+ং+হ্‌+অ + আ+স্‌+অ+ন্‌+অ = স্‌+ই+ং+হ্‌++স্‌+অ+ন্‌+অ = সিংহাসন)

২. ই/ঈ + ই/ঈ = ঈ

উদাহরণ: সতীশ = সতী + ঈশ (স্‌+অ+ত্‌+ঈ + ঈ+শ্‌+অ = স্‌+অ+ত্‌++শ্‌+অ = সতীশ)

উ/ঊ + উ/ঊ =ঊ

উদাহরণ: বধূৎসব = বধূ + উৎসব (ব্‌+অ+ধ্‌+ঊ + উ+ত্‌+স্‌+অ+ব্‌+অ = ব্‌+অ+ধ্‌++ত্‌+স্‌+অ+ব্‌+অ = বধূৎসব)

৪. অ/আ + ই/ঈ = এ

উদাহরণ: মহেশ = মহা + ঈশ (ম্‌+অ+হ্‌+আ + ঈ+শ্‌+অ = ম্‌+অ+হ্‌++শ্‌+অ = মহেশ)

৫. অ/আ + উ/ঊ = ও

উদাহরণ: বঙ্গোপসাগর = বঙ্গ + উপসাগর (ব্‌+অ+ঙ্‌+গ্‌+অ + উ+প্‌+অ+স্‌+আ+গ্‌+অ+র্‌+অ = ব্‌+অ+ঙ্‌+গ্‌++প্‌+অ+স্‌+আ+গ্‌+অ+র্‌+অ = বঙ্গোপসাগর)

৬. অ/আ + ঋ = অর্‌

উদাহরণ: সপ্তর্ষি = সপ্ত + ঋষি (স্‌+অ+প্‌+ত্‌+অ + ঋ+ষ্‌+ই = স্‌+অ+প্‌+ত্‌++র্‌+ষ্‌+ই = সপ্তর্ষি)

৭.আ/আ + ঋত = আর্

উদাহরণ: ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত

৮. অ/আ + এ/ঐ = ঐ

উদাহরণ: জনৈক = জন + এক

৯. অ/আ + ও/ঔ = ঔ

উদাহরণ: পরমৌষধ = পরম + ঔষধ

১০. ই/ঈ + ই/ঈ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ = ্য‍

উদাহরণ: ন্যূন = নি + ঊন

১১. উ/ঊ + উ/ঊ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ = ্ব

উদাহরণ: অনু + অয় = অন্বয়

১২. ঋ + ঋ ছাড়া অন্য স্বরবর্ণ = ্র্

উদাহরণ: পিত্রিচ্ছা = পিতৃ + ইচ্ছা

১৩. এ + অন্য স্বরবর্ণ = অয়্‌

উদাহরণ: নয়ন = নে + অন

১৪. ঐ + অন্য স্বরবর্ণ = আয়্‌

উদাহরণ: গায়ক = গৈ + অক

১৫. ও + অন্য স্বরবর্ণ = অব্‌

উদাহরণ: গবেষণা = গো + এষণা

১৬. ঔ + অন্য স্বরবর্ণ = আব্‌

উদাহরণ: নাবিক = নৌ + ইক

ব্যঞ্জনসন্ধি

স্বরে আর ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে‬ ও ব্যঞ্জনে অথবা ব্যঞ্জনে ও স্বরে সন্ধি হলে ব্যঞ্জন সন্ধি হয়। যেমন, বিপজ্জনক = বিপদ + জনক (বিপদ = ব্‌+ই+প্‌+অ+দ্‌+অ; জনক = জ্‌+অ+ন্‌+অ+ক্‌+অ)। ব্যঞ্জনসন্ধি মূলত কথ্য রীতিতে সীমাবদ্ধ। প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি মূলত সমীভবনের নিয়মে হয়ে থাকে।নিয়ম

১. বর্গের প্রথম বর্ণ (ক, চ, ট, ত/ৎ, প) + স্বরবর্ণ = বর্গের তৃতীয় বর্ণ (গ, জ, ড/ড়, দ, ব)

ষড়ঋতু = ষট্‌ + ঋতু

২. বর্গের প্রথম বর্ণ + বর্গের পঞ্চম বর্ণ = বর্গের প্রথম বর্ণ বদলে সেই বর্গেরই পঞ্চম বর্ণ হয়

মৃন্ময় = মৃৎ + ময়

৩. ত/দ + জ/ঝ = জ্জ/জ্ঝ

বিপজ্জনক = বিপদ্ + জনক

৪. ত/দ + চ/ছ = চ্চ/চ্ছ

উচ্ছেদ = উৎ + ছেদ

৫. ত/দ + ল = ল্ল

তল্লিখিত = তদ্‌ + লিখিত

৬. ম + স্পর্শবর্ণ (ক-ম) = ম বদলে ং হয়, অথবা যেই বর্গের স্পর্শবর্ণ সেই বর্গেরই পঞ্চম বর্ণ হয়

সংগীত/সঙ্গীত = সম্‌ + গীত

৭. ম + অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল, ব)/ উষ্মবর্ণ (শ, ষ, স, হ) = ম বদলে ং হয়

বশংবদ = বশম্‌ + বদ

৮. স্বরবর্ণ + ছ = চ্ছ

পরিচ্ছেদ = পরি + ছেদ

৯. ত/দ + হ = দ্ধ

উদ্ধত = উৎ + হত

১০. ত-বর্গীয় বর্ণ (ত, থ, দ, ধ) + শ = চ্ছ

উচ্ছ্বাস = উৎ + শ্বাস

১১. শ/ষ + ত = ষ্ট

দৃষ্টি = দৃশ্‌ + তি

১২. শ/ষ + থ = ষ্ঠ

ষষ্ঠ = ষষ + থ

.তৎসম সন্ধি কত প্রকার ও কি কি

তৎসম শব্দের সন্ধিতৎসম শব্দ অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষার যে সব শব্দ অবিকৃত অবস্থায় (সংকলিত ও নির্বাচিত) বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়, সে সব শব্দের যে সন্ধি হয়, তাকে বলে তৎসম শব্দের সন্ধি। মূলত সন্ধি বলতে এই তৎসম শব্দের সন্ধিকেই বোঝানো হয়। বাংলা ভাষায় ৩ ধরনের তৎসম শব্দের সন্ধি হয়- স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি।স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনের প্রকৃতি অনুসারে এই সন্ধিকে যে ভাবে পাই তা হল—
১. সংস্কৃত স্বরসন্ধি বা স্বর-স্বর সন্ধি। বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়

২.সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধিব্যঞ্জনসন্ধির প্রকৃতি অনুসারে, একে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এই ভাগ  তিনটি হলো-·         ১। স্বর-ব্যঞ্জন সন্ধি। অ +ছ =অচ্ছ। প্র +ছদ =প্রচ্ছদ·         ২। বাব্যঞ্জন-স্বর সন্ধি। বাক্ + ঈশ =বাগীশ·         ৩। ব্যঞ্জন-ব্যঞ্জন সন্ধি। তৎ + সম =তৎসম

ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে উদাহরণ দাও

ব‍্যঞ্জনে ব‍্যঞ্জনে বা ব‍্যঞ্জনে স্বরে যে মিলন তাই ব‍্যঞ্জন‌সন্ধি। স্বরের সঙ্গে ব্যঞ্জনেরব্যঞ্জনের সঙ্গে স্বরের বা ব্যঞ্জনের সঙ্গে ব্যঞ্জনের মিলনে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে

বিসর্গ সন্ধি কাকে বলে

বিসর্গের সঙ্গে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনি যুক্ত হয়ে যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। সূক্ষ্ম বিচারে বিসর্গ সন্ধি ব্যঞ্জনসন্ধির অন্তর্গত। কেননা ,বিসর্গ উৎপন্ন হয় র্ ও স্ দুটি ব্যঞ্জন থেকে। তাই বিসর্গ হল র্-জাত ও স্-জাত।

নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কাকে বলে

যেসব সন্ধিসমূহ স্বরসন্ধি বা ব্যঞ্জনসন্ধি বা বিসর্গসন্ধির নিয়মগুলো মেনে চলে না, তাদেরকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। তৎসম শব্দের সন্ধিতেই শুধু নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি হয়।

আমি নাজমুল । আমি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা তে বসবাস করি। বর্তমানে আমি চাকরী করছি। আমার চাকরী পাশাপাশি আমি অনলাইনে লেখা লেখি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে টেকনোলোজি বিষয়ে লেখা লেখি করতে আমার ভাল লাগে। তাই আপনাদের জন্য আমি এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করেছি। এখানে আপনি বাংলাদেশের অনালাইন সম্পর্কিত প্রায় সকল ধরনের তথ্য খুজে পাবেন। ধন্যবাদ।
Posts created 2348

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts

Begin typing your search term above and press enter to search. Press ESC to cancel.

Back To Top
(Official) Jhumka Jhule Kane Haay Song Lyrics ঝুমকা ঝুলে কানে হায় লিরিক্স shab e barat 2023 namaj koto rakat Xiaomi Bangladesh realme narzo 50i prime,Review,Processor,Picture,black,gsmarena,wallpaper,price in bangladesh World Refugee Day 2022: When did it begin? What is the theme of the year?