জ্বর কেন আসে 2022 | মানুষের জ্বর কেন হয়।আমাদের জ্বর কি কেন হয় এই পোস্টে দেখলে বুঝতে পারবেন।জ্বর কি কি কারনে হয় ।জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে।জ্বর হওয়ার কারণ কি ।জ্বর কিভাবে হয়
জ্বর কেন হয় আর জ্বর কেন রোগ নয়?
উত্তর
সাধারণতে জ্বর সবারই মাঝে দেখা যায়, জ্বর অনেক প্রকার হয় ,প্রশ্ন হলে জ্বর কেনন হয়, আর এই জ্বর কে কোনো রোগ বলা হয় না কেন?জ্বর কোন রোগ নয়, জ্বর একটি সাধারণ উপসর্গ। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর হতে পারে। জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮•৬ ফারেনহাইট। শরীরের তাপমাত্রা এর থেকে বেড়ে গেলে আমরা তাকে জ্বর বলতে পারি। আর দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মানেই হল, দেহে পাইরোজেন (Pyrogens) উৎপন্ন হয়েছে। জ্বর হলে কি করণীয় এ সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। জ্বর হলে ঠান্ডা হাওয়া আসার ভয়ে ঘরের দরজা, জানালা অনেকে বন্ধ করে রাখেন অথবা জ্বর হলেই অনেকে রোগীর গায়ে কাঁথা চাপিয়ে দেন। তারা মনে করেন, এতে করে রোগীর ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়েযাবে।
প্রকৃতপক্ষে এগুলোর কোনটাই জ্বর কমাতে কোন সাহায্য করে না। সামান্য জ্বর হলেই আমরা ঘাবড়ে যাই। এমন একটি লোকও পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার একবারও জ্বর হয়নি। জ্বর কোনও রোগ নয় বরং এটি বহু অসুখের একটি উপসর্গ মাত্র। শুধু জ্বর বলে কিছু হয় না। এটা যে কোন একটি রোগের বাইরের চেহারা। স্বর্দি-কাশি হলে, ম্যালেরিয়া হলে, টাইফয়েড, টি.বি, আবার পড়ে গিয়ে হাত-পা কেটে গেলেও জ্বর হতে পারে। সবার সাথেই জ্বর আছে উপসর্গ হিসেবে।
স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৬.৬সে. থেকে ৩৭.২সে. পর্যন্ত। এর থেকে (১সে. থেকে ৪সে. পর্যন্ত) বেশি হলেই আমরা জ্বর হয়েছে বলে ধরে নেই। এই জ্বর সেন্টিগ্রেড অথবা ফারেনহাইট থার্মোমিটার দিয়ে মাপা যায়। জ্বর সাধারণত তিন প্রকারের হয়। যেমন- কন্টিনিউড (Continued) যখন জ্বর এর মাত্রা ২৪ ঘণ্টায় ১ সে.(১.৫ ফারেনহাইট) পর্যন্ত উঠানামা করে কিন্তু জ্বর কোন সময় স্বাভাবিক অবস্থায় আসে না, তখনই তাকে কন্টিনিউড জ্বর বলে।
রেমিটেন্ট (Remittent) যখন জ্বর এর মাত্রা ২৪ ঘণ্টায় ২ সে.(৩ ফারেনহাইট) পর্যন্ত উঠানামা করে, তাকে রেমিটেন্ট জ্বর বলে। ইন্টারমিটেন্ট (Intermittent) যখন জ্বর শরীরে দৈনিক কয়েক ঘণ্টা উপস্থিত থাকে, তখন তাকে ইন্টারমিটেন্ট জ্বর বলে। এই ইন্টারমিটেন্ট জ্বর যদি প্রতিদিন আসলে, তখন তাকে কোটিডিয়ান জ্বর বলে। একদিন পর পর এলে তাকে টার্শিয়ান এবং দুই দিন পর পর এলে তাকে কোয়ার্টান জ্বর বলে। তবে এখন জ্বর নিরাময়ের ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ সেবনের ফলে এই জ্বরের শ্রেণীবিন্যাস সব সময় ঠিকমত বোঝা যায় না। জ্বর কেন হয়? বিভিন্ন ইনফেকশন, টিস্যু নেক্রোসিস ইত্যাদি কারণে শরীরে জ্বর তৈরিকারী পদার্থ পাইরোজেন নিঃসরণ হয়।
নিঃসৃত পাইরোজেন প্রোস্টাগ্লান্ডিন নামক কেমিক্যাল মেডিয়েটর তৈরি করতে উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াল প্রডাক্ট, যেমন- ব্যাকটেরিয়াল কলাইপোপলিস্যাকারাইড শ্বেতকণিকাকে উত্তেজিত করে এন্ডোজেনাস পাইরোজেন তৈরি করে এবং এগুলো প্রোস্টাগ্লান্ডিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সেখানকার রক্তনালি ও এর আশপাশের কোষগুলোতে বেশি পরিমাণে প্রোস্টাগ্লান্ডিন উৎপন্ন করতে প্রভাবিত করে। এই সাইক্লিক এ এম পি হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি মাত্রায় পুন-নির্ধারণ করে, যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং জ্বর অনুভুত হয়। কি কি কারণে জ্বর হতে পারে? যে কোনও ভাইরাসজনিত প্রদাহ যেমন সর্দি, কাশি, হুপিংকাশি, ডেঙ্গু ইত্যাদি। আবার পরজীবী ঘটিত রোগ, যেমন- ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি। যে কোনও একুইট ইনফেকশন বিশেষ করে পুঁজ তৈরিকারক ইনফেকশন যেমন- ফোঁড়া, কার্বাংকল, ফুরাংকল। ক্যান্সার হলে। কলা বিনষ্টকারী বা টিস্যু নেক্রোসিস যে রোগে হয়, যেমন মায়োকর্ডিয়াল ইনফেকশন, আর্থাইটিস, বাতজ্বর বা রিউমাটিক ফিভার। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ক্রনিক ইনফেকশন, যেমন- যক্ষ্মা হলে। অটোইমিউন রোগ যেমন- ইমুনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন, এসএলই ইত্যাদি। যে কোনও কোষ কলা অর্গানের প্রদাহজনিত রোগ যেমন মেনিনজাইটিস, একুইট গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস, একুইট অস্টিওমাইলাইটিস, একুইট হেপাটাইটিস ইত্যাদি। মহিলা ও পুরুষের জননতন্ত্রের প্রদাহ, যেমন- প্রস্রাবে অথবা প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন, মেয়েদের ক্ষেত্রে অ্যান্ডোমেট্রাইটিস, উফুরাইটিস, সার্ভিসাইটিস, সালফিনজাইটিস এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রস্টেটাইটিস, অরকাইটিস, ইপিডিডাইমাইটিস ইত্যাদি। জ্বরের কারণ নির্ধারণের জন্য যে সকল পরীক্ষা করা হতে পারে লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে ডাক্তার প্রয়োজনমত রক্তের সাধারণ কিছু পরীক্ষা যেমন- টিসি, ডিসি, ই এস আর, এক্সরে চেস্ট, সিটি স্ক্যান/এমআরআই, রক্তের কিছু বিশেষ পরীক্ষা যেমন Widal, Febrile antigen, বডি ফ্লুয়িড পরীক্ষা যেমন- CSF এবং অন্যান্য বডিফ্লুয়িড, ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মার জন্য পিসিআর, কালচার সেনসিটিভিটি, এএফবি, ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য এফএনএসি সাইটোলজি, লিউকেমিয়া প্যানেল, লিমফোমা ও বায়োপসি ইত্যাদি করতে দিতে পারেন।
জ্বর কী?
শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ সেলসিয়াস৷ তাই তার বেশি হলেই জ্বর হয়েছে বলে ধরা হয়৷ তবে শরীরে জ্বরের মাত্রা কত, তা নির্ভর করে থার্মোমিটারটি শরীরের কোথায় রেখে মাপা হয়েছে তার ওপর৷ কারণ শরীরের হাত, পা, মুখের ভেতর বা অন্য জায়গায় তাপমাত্রার পার্থক্য হয়ে থাকে৷
সঠিক তাপমাত্রা নির্ণয়
থার্মোমিটারটি মুখের ভেতর, বগলের নীচে, মলদ্বার বা শরীরের ঠিক কোনখানে এবং দিনের কোন সময়ে মাপা হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে জ্বরের পরিমাপ৷ তবে শরীরের অন্যান্য জায়গার তুলনায় মুখের ভেতর বা জিবের নীচের তাপমাত্রাই সাধারণত সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে৷
আমার অনেক জ্বর ও ক্ষুধামন্দা?
একটু বেড়েছে। স্বাভাবিক মান ৩৫.৫ পর্যন্ত। আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B 12 সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। এতেই কাজ হবে ইনশাআল্লাহ্
জ্বর আসা সমস্যা?
আপনি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরনাপন্ন হন।তারাই ভালো বুঝবে।আর আপনি সকালে গোসল ছেড়ে দিন।আর যেদিন করবেন গোসলের পর দ্রুত শরীর মুছে ফেলবেন।সাথে সরিষার তেল লাগাবেন।আল্লাহর রহমতে আপনার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
জ্বর হলে কোন ধরণের খাদ্য ও ফল রোগীর জন্য বেশি উপকারী?
জ্বর হলে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন: ভাত , আলু ,শীম , পাউরুটি ইত্যাদি খেতে হবে।তাছাড়া পানি বেশি বেশি পান করতে হবে
মানুষের শরীরের কত ডিগ্রি তাপমাত্রা স্থির ধরা হয়?আর কত ডিগ্রি হলে জ্বর ধরা হয়?সর্বোচ্চ কত ডিগ্রী জ্বর হলে আশংকা জনক ধরা হয়?
সাধারন মানুষের শরীরের তাপমাত্রা 98 ফারেনহাইট। এর বেশি হলে জ্বর বলে গন্য হয় আর ১০৫ অধিক গেলেই আশংকাজনক
জ্বর ১০৪, এক্ষেত্রে কি ইঞ্জেকশন দিলে দ্রুত জ্বর কমে যাবে,জানালে উপকার হবে?
জ্বর কিন্তু অনেক। সবচেয়ে ভাল হয় একজন ডক্টর এর সাথে কথা বলে ঔষধ সেবন করা