কোরবানির নাম দেওয়ার নিয়ম | কোরবানির ভাগের নিয়ম| কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম |কুরবানী কত ভাগে করা যায়
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবার অনেক ভাল আছেন আজকে আপনাদের জন্য নতুন আইডিটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম যে পোস্টে আপনাদেরকে জানাবো কোরবানির কতজনে দিতে হয় এবং কোরবানির নিয়ম এবং কোরবানির সকল কিছু আপডেট আজকে আপনাদেরকে নিয়ে আসলাম
বন্ধুরা আজকে আমরা যে সকল বিষয়ে জানব তারা সকল কিছু নিজে বিস্তারিত দেয়া হলো একটি একটি করে আপনাদেরকে আজকে বুঝিয়ে দেব সকল তথ্য আপনাদের কাছে একদম সঠিক নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব
- কোরবানির নাম দেওয়ার নিয়ম
- কোরবানির ভাগের নিয়ম
- কোরবানির গোশত বন্টনের নিয়ম
- কুরবানী কত ভাগে করা যায়
কোরবানির নাম দেওয়ার নিয়ম
বন্ধুরা আজকে আমাদের আলোচনার প্রথম বিষয় হলো কোরবানির নাম দেওয়ার নিয়ম
ভাগে কুরবনি দেন বা একক ভাগে কোরবানি দেন কোরবানি দেওয়ার সময় পশু শোয়ানোর পরে যে ব্যক্তি কোরবানি দেন তার বা তাদের সকলের নাম উচ্চারণ করে হুজুরগণ দোয়া পরে থাকেন।
এই প্রচলন অনেক জায়গায় বহু বছর ধরে চলমান।
এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা কোরবানি দেন তাদের বাবার নাম সহ তাদের নাম উল্লেখ করেন।
অনেকের মনে প্রশ্ন যে কোরবানির নাম দেওয়ার নিয়ম জানতে চান।
ইসলামিক স্কলারদের মাশআলা অনুযায়ী, কোরবানির নাম মুখে উচ্চারণ করে আদায় করা ফরজ বা আবশ্যিক না।
তবে কোরবানির সময় কোরবানি দেওয়া ব্যক্তিদের নাম উচ্চারণ করে তাদের কোরবানি কবুল করে নেওয়ার কথা উচ্চারণ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়।
কোরবানির নাম দেওয়া বা উচ্চারণ করা আবশ্যিক না কারণ, কোন ব্যক্তি যখন কোরবানির পশু কেনার জন্য টাকা দেন বা রেডি করেন তখনই আল্লাহর কাছে কোরবানির নিয়ত সম্পন্ন হয়ে যায়।
আর আল্লাহ সকল বিষয়ে অবহিত। আল্লাহ সবার মনের কথা জানেন। তাই কোরবানির নাম মুখে নিয়ে উচ্চারণ করে দোয়া করা জরুরি না। তবে নাম উচ্চারণ করলে কোন সমসস্যা নেই। বা পাপ নেই।
যে হুজুর বা ব্যক্তি কোরবানির গরু জ *বা * হ করবে তিনি চাইলে একটি কাগজে সকলের নাম লিখে কোরবানির আগ মুহূর্তে সকলের নাম উচ্চারণ করে দোয়া করে নিতে পারেন।
কোরবানির ভাগের নিয়ম
এখন আমরা কোরবানির ভাগের নিয়ম তা জানবো কিভাবে করতে হয়
সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি বিধানে কেউ একা কোরবানি দিবেন। আবার কেউ শরিকে বা ভাগে কোরবানি করবেন। তবে ইসলামী শরিয়াতে শরিকে কোরবানি করার ব্যাপারে কিছু বিধান রয়েছে। গরু, মহিষ ও উট এই জাতীয় যে পশুগুলো কোরবানির জন্য বৈধ, সেগুলোর মধ্যে ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ। নবী করীম (সা.) সাত ভাগ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়া অনুমোদন করেছেন। সহিহ মুসলিমের একটি হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, রাসুল (সা.) উটের মধ্যে ১০ ভাগ পর্যন্ত কোরবানি দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং এ ক্ষেত্রে ভাগে কোরবানি করা জায়েজ, নাজায়েজ নয়। এটি প্রায় সব ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য।
তবে এই বিষয়ে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত বা বিচ্ছিন্ন বক্তব্যও রয়েছে। এই সকল বক্তব্য মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া, এসবের পক্ষে সামান্যতম কোনো বর্ণনা নেই। কেউ কেউ বলেন যে, ভাগে কোরবানি দেওয়া জায়েজ নয়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত, সহিহ মুসলিমের রেওয়াতেরে মধ্যে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে রাসুল (সা.) ভাগে কোরবানি দেওয়ার ব্যাপারে রুখসাত (অনুমোদন) দিয়েছেন।
তবে জানা যায়, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা শুধু একজনই কোরবানি দিতে পারবে। এগুলো দ্বারা একাধিক ব্যক্তি মিলে কোরবানি করা সহীহ হবে না। আর উট, গরু ও মহিষে সর্বোচ্চ সাতজন শরীক হতে পারবে। সাতের অধিক শরীক হলে কারো কোরবানি সহীহ হবে না। সহীহ মুসলিম শরিফে হযরত জাবের (রা.) বর্ণিত হাদীস থেকে জানা যায় তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে হজ করেছিলাম, তখন আমরা সাতজন করে একটি উট এবং একটি গরুতে শরিক হয়ে কোরবানি করেছি। উট, গরু ও মহিষ সাত ভাগে এবং সাতের কমে যে কোনো সংখ্যা যেমন দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ।
তবে শরিকে কোরবানি করলে কারো অংশ এক-সপ্তমাংশের কম হতে পারবে না, এমন হলে কোনো শরিকেরই কোরবানি সহীহ হবে না। এবং যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কোরবানি দেওয়ার নিয়্যাতে কিনে আনে। আর সে ধনী হয়। তাহলে তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরিক করা জায়েজ হলেও শরিক না করে একা কোরবানি করাই শ্রেয়।
শরিক করলে ওই অংশের টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি গরিব হয়, যার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব নয়। তাহলে যেহেতু কোরবানির নিয়্যাতে পশুটি ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরোটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তাই তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরীক করা জায়েজ নয়। যদি শরিক করে তবে ওই টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি। গরিব ব্যক্তি কোরবানির পশুতে কাউকে শরিক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়্যাত করে নিতে হবে।
0 Comments